কিভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখবে
১) উত্তরপত্রের প্রথম দুই-তিন পাতার লেখা পরীক্ষকের সাইকোলজিকে বোঝায়, যে তুমি কেমন লিখেছ। আর প্রথম দুই তিনটি প্রশ্ন যদি তুমি ভালো এবং কাটাকুটি না করে, সুন্দর হাতের লেখা দিয়ে লিখতে পারো, তখনই তোমার প্রতি পরীক্ষকের মনে একটি ভালো ইম্প্রেশন তৈরী হয়। তাহলে পরের প্রশ্ন গুলোতেও তুমি ভালো নম্বর পাবে। তাই লেখা শুরুর আগে পুরো প্রশ্ন পড়ে নাও, এবং সবচেয়ে ভালো লিখতে পারবে সেই তিনটি প্রশ্ন বেছে নিয়ে প্রথমে লেখ। তবে দাগ নম্বর ঠিক মতো দেবে। মনে রাখবে তোমার হাতের লেখা সুন্দর না ও হতে পারে, কিন্তু তুমি চেষ্টা করলেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে লিখতে পারো, কাটাকুটি না করে লিখতে পারো।
২) দ্বিতীয় বিষয় টি হচ্ছে প্রশ্ন নির্বাচন। অনেকেই মনে করে যে ভাগ ভাগ করা প্রশ্ন, যেমন (১+২+১) এই প্রশ্ন গুলো লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। একথা সত্যিই ঠিক, কিন্তু এই প্রশ্নের তিনটি পার্টই যদি তোমার জানা থাকে তবেই লিখবে। আর যদি সবগুলো পার্টের উত্তর না জেনে থাকো তবে এর চেয়ে বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর করলে, আর সেই প্রশ্নের উত্তর যদি তোমার ভালো জানা থাকে তবে এই ক্ষেত্রে বর্ণনামূলক প্রশ্নই উত্তর করা ভালো।
৩) আর আরেকটি কথা, যদিও পরীক্ষার (Madhyamik HS Exam Tips) আগে কথাটি বলা ঠিক নয়, তবুও তোমাদের ভালোর জন্যই বলছি, কখনো তোমার সামনে যে বসবে তার খাতা দেখে লিখবে না। কারন তার খাতা আর তোমার খাতা এক হলে, পরীক্ষকের সেটা বুঝতে অসুবিধা হবে না, সেক্ষেত্রে পরের খাতাটি যার, সে অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পাবে। ঠিক একই ভাবে তুমি যদি তোমার সামনের জন কে উত্তর দেখাও, তবে তুমি কম নম্বর পাবে।
৪) পরীক্ষার (Madhyamik HS Exam Tips) হলে গিয়ে তোমার সর্বপ্রথম টার্গেট থাকবে পূর্ণমানের বা ফুলমার্কস এর উত্তর করা। আর সমস্ত প্রশ্ন কমন না ও পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে যে প্রশ্নের উত্তর গুলো তুমি ভালো জানো, সেগুলো আগে উত্তর করবে। এবং মার্ক করে রাখবে। যে প্রশ্ন গুলো তোমার কমন পড়েনি, তার সম্মন্ধে যতটুকু জানো দুই তিন লাইন হলেও প্রত্যেক্টি প্রশ্নের উত্তর লিখে আসবে। আর একটুও ধারনা না থাকলে, ঐ মুহূর্তে যতটুকু মনে হয় দুই তিন লাইন লিখে আসবে।
৫) পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রথম এক ঘন্টা তোমার মন এবং ব্রেন রিলাক্সে থাকবে, তাই প্রথম এক ঘন্টায় তুমি তোমার সবচেয়ে কমন পড়া প্রশ্ন গুলোই লিখবে। মনে রাখবে এমন কোনও নিয়ম নেই যে প্রশ্নের সিরিয়াল অনুযায়ী উত্তর করতে হবে। দাগ নম্বর ঠিক থাকলেই হলো।
৬) যে প্রশ্নগুলো কমন পড়েনি, সেগুলো নিয়ে পরে চিন্তা করবে। যখন সব লেখা হয়ে যাবে তখন একেকটি প্রশ্নের উত্তর করবে, নিজের অভিজ্ঞতা এবং কৌশল দিয়ে। আর একটি কাজ কখনো করবে না, যেটি অনেকেই নিজের পারসোনাল বক্তব্য লিখে আসে, ( স্যার পাস করিয়ে দেবেন, আমার বিয়ে হবে না, বাড়ি থেকে বের করে দেবে) এগুলো লিখলে খাতা বাতিল হয়ে যেতে পারে। আর ফোন নম্বর তো ভুলেও লিখবেনা।
* সর্বোপরি একটি ভালো প্রস্তুতি স্বভাবতই ভালো ফলের দাবিদার। সেই সাথে হার্ড ওয়ার্ক এর চেয়ে বর্তমানে স্মার্টওয়ার্ক বেশী ফলদায়ক। তাই কিছুটা টেকনিক ব্যাবহার করে, সাধারন মেধার পড়ুয়া ও ভালো ফল করতে পারে। প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে বন্ধুদের অবশ্যই শেয়ার করার অনুরোধ রইলো, এবং এই সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন, বা পরীক্ষার সাজেশন পেতে নিচে কমেন্ট করো। সেই সাথে পরীক্ষা (Madhyamik HS Exam Tips) পেছনো নিয়ে তোমার কি মতামত, নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারো।